Copyright @ sabitadas | Developed by bidhanmedia
প্রবাসের প্রিয় মুখ সবিতা দাস। একের ভিতর বহু গুনের অধিকারী। একাধারে একজন সঙ্গীত শিল্পী, বহ্নিশিখা সঙ্গীত নিকেতনের CEO ও President. সবিতা মাদার এন্ড চিলড্রেন ফাউন্ডেশন, ইনক এর ফাউন্ডার প্রেসিডেন্ট ও CEO. সবকিছু চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন সমানতালে। আগামী দিনে তিনি আরও বড় বড় পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চান। শিশু কিশোর ও সব বয়সীদের গান শেখাতে যেমন পছন্দ করেন, তেমনি পছন্দ করেন মা ও শিশুদের জন্য কাজ করতে। এখন স্বল্প পরিসরে করছেন। আগামী দিনে এর পরিসর আরও বিস্তৃত করতে চান।
তার পুরো নাম সবিতা রানী সুতোর (দাস)। তবে তিনি প্রবাসে সবিতা দাস নামেই পরিচিত। এখন পর্যন্ত নিজের অর্থেই সব কিছু করে যাচ্ছেন। আগামী দিনে মহতী মানুষের পাশে সবসময় থাকতে চান।
সবিতা দাস ১৯৯১ সালে স্বামীর সঙ্গে OP One ভিসা নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ম্যানেজার হিসাবে কাজ করতেন। অনেক চড়াই উৎড়াই পার করতে হয়েছে। পেশার পাশাপাশি গড়ে তুলেছেন বহ্নিশিখা সঙ্গীত নিকেতন। ২০০০ সালে বহ্নিশিখা সঙ্গীত নিকেতনের যাত্রা শুরু হয়। ২০০৮ সালে এটি নিউইয়র্ক বোর্ড অব এডুকেশন ও সিটি থেকে রেজিস্ট্রেশন করেন। সেখানে গান, নাচ, কবিতা আবৃত্তি, বাদ্যযন্ত্র শেখানো ছাড়াও ছবি আঁকা এবং বাংলা ভাষা শেখানো হয়।
তিনি Bronx, Jackson Heights, Jamaica তে তিনটি শাখা ছাড়াও Astoria তে একটি শাখা পরিচালনা করছেন। তার এই একাডেমী গুলোতে ১৫০ জনের মত Student আছে। সেখানে স্টুডেন্টদের একটি ফর্ম পুরণ করে ভর্তি করাতে হয়। ভর্তির জন্য নামমাত্র ফি নেওয়া হয়। শিশু হলে ১০ ডলার আর বড় হলে ২০ ডলার।
সাড়ে তিন বছর থেকে ৬৫ বছর পর্যন্ত সবাই গান শিখতে পারেন। সবিতা দাস বলেন, এখানে যাদের জন্ম তাদেরকে ক্লাস সেভেন এইট পর্যন্ত ধরে রাখা যায়, এর পর আস্তে আস্তে বাংলা সংস্কৃতির প্রতি তাদের আগ্রহ কমতে থাকতে থাকে। তিনি বলেন তার প্রতিষ্ঠানে টিচার আছেন ১০ জন।
সবিতা দাস কিভাবে শিখলেন?
প্রথম গান শেখা বাবা শ্রীযুক্ত বাবু সুরেন্দ্র নাথ সুতোর কাছে। এরপর দীদা সারদা সুন্দরী সুতার, বড় বোন অঞ্জলী দাসের কাছে, মেঝ বোন আরতী মজুমদার এর কাছে হারমোনিয়াম বাজিয়ে গান শিখতেন। এছাড়াও বোনের জামাই রামকানাই দাসের কাছে ক্লাসিক্যাল গান শিখেন।
প্রাতিষ্ঠানিক কোন প্রতিষ্ঠানে কোন গান না শিখলেও ভারতের পশ্চিম বঙ্গের নিখিল ভারত সঙ্গীত কলা সমিতিতে ২০০০ সালে এবং পশ্চিমবঙ্গের প্রাচীন কলা কেন্দ্র থেকে গান শিখেন। বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত শিল্পী। দীর্ঘ আট বছর গান করেছেন। তার দু’টি এলবাম বের হয়েছে। ২০০৬ সালে প্রকাশ হয় “শখের বাউল” এবং ২০০৮ সালে বের হয় “সাধন কল্প তরু”। পুরস্কারও পেয়েছেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং সংস্থার কাছ থেকে।
সাংস্কৃতিক চর্চার পাশাপাশি সমাজ সেবার জন্য গঠন করেছেন “সবিতা মাদার অ্যান্ড চিলড্রেন ফাউন্ডেশন”। আমেরিকা ও বাংলাদেশও বিভিন্ন কাজ করে যাচ্ছেন। ২০০৬ সালে এই ফাউন্ডেশনটি রেজিস্ট্রেশন করেন। স্বামী ডা: প্রভাত দাস আমেরিকান ডাক্তার, নিউইয়র্কে নিয়মিত প্র্যাকটিসের পাশাপাশি ফ্রি চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।
তাদের দুই সন্তান। দুজনেই ছেলে। বড় ছেলে সাইকোলজিস্ট আর ছোট ছেলে ইঞ্জিনিয়ার।
বরিশালের মেয়ে হলেও খুলনাতেই থাকতেন। সেখানেই অনার্স মাস্টার্স করেছেন। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক পুরস্কার পেয়েছেন। নিউইয়র্কে কনস্যুলার জেনারেলের অফিস, স্থায়ী মিশনের অফিস, জাতিসংঘের অনুষ্ঠানে গান করেছেন। ২০১৮ সালে সিটি সাইটেশন অ্যাওয়ার্ড, কাউন্সিল ম্যান প্রোক্লেমেশন ছাড়াও কংগ্রেসম্যান থেকেও পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি সব ধরনের গানই করে থাকেন।
Copyright @ sabitadas | Developed by bidhanmedia
Automated page speed optimizations for fast site performance